সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সময় সনদ নয়; জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইডি অনুযায়ী নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে এনআইডিতে কারো নামের বানান বা অন্যান্য তথ্য যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের সঙ্গে মিল না থাকে, তাহলে নিয়োগের আগেই প্রার্থীকে সংশোধন করে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিয়োগের সময় এনআইডির তথ্যাদি বিশেষ করে নিজ নাম, পিতার নাম, জন্ম তারিখ এবং নিজ জেলা আমলে নিয়ে নিয়োগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ওই নির্দেশনা দেয়ার পর নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ সংক্রান্ত একটি আধা সরকারি পত্রও (ডিও লেটার) দিয়েছেন মন্ত্রণালয়টির সচিবকে।
এতে বলা হয়, আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতরে চাকরি প্রত্যাশীদের চাকরি প্রদান করা হলেও চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেতে যথাযথ তথ্য প্রদান করা হয়েছে কি না- প্রায়ই নিশ্চিত করা হয় না। অনেক সময় এনআইডিতে লিপিবদ্ধ তথ্যাদি লক্ষ্য করা হয় না বা এনআইডি নেয়া হলেও তার সঠিকতা যাচাই করা হয় না। ‘চাকরি বেতন ও ভাতাদি আদেশ-২০১৫’এর ৩৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণ/বেতন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এনআইডির তথ্যাদির ব্যবহার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে চাকরি পাওয়ার পর ‘পে ফিক্সেশন’সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা এনআইডি অনুবিভাগের দ্বারস্থ হলে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নিয়োগের সময় এনআইডি অনুযায়ী তথ্য আমলে নিয়ে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর ওই নির্দেশনা প্রতিপালন করে না মর্মে বিবেচিত হয়।
No comments:
Post a Comment