স্মার্ট কার্ড কি?
Smart card bd NID National identity Bangladesh Election Commission.smart card,chip card,distribution,date,launch,flye,reader,beta,bangladesh,explanation,reveal,bd,
smart card distribution schedule 2017, download,login,Check Smart National id Card Bangladesh by SMS, Online,
smart card reader.
স্মার্ট কার্ড হল আধুনিকভাবে তৈরে,যন্ত্রে পাঠযোগ্য, যার মধ্যে সমন্বিত বর্তনী(integrated circuit) রয়েছে।স্মার্ট কার্ড সাধারন্ত দুই প্রকার- মেমোরি কার্ড, যার মধ্যে নিরাপত্তাসূচক বর্তনী যুক্ত মেমোরি থাকে এবং মাইক্রোপ্রসেসর কার্ড, যার মধ্যে মেমোরি কার্ড ছাড়াও মাইক্রোপ্রসেসর থাকে।স্মার্ট কার্ডে সব তথ্য সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সিস্টেম, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সিম কার্ড, এটিএম কার্ড ইত্যাদি স্মার্ট কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে
স্মার্ট জাতীয়
পরিচয়পত্র কি?
জালিয়াতি রোধে জাতীয় পরিচয়পত্রকে আধুনিকভাবে তৈরি, যন্ত্রে পাঠযোগ্য জাতীয় পরিচয়পত্রকেই স্মার্টকার্ড বলে। একে ভোটার আইডি বলেও অভিহিত করা হয়। বর্তমানে যে পরিচয়পত্র বা কার্ড চালু রয়েছে তা সাধারণ পাতলা কাগজে প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করা। যার প্রথম পৃষ্ঠায় নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ ও আইডি নম্বর এবং অপর পৃষ্ঠায় ঠিকানা দেওয়া। ফলে এই কার্ডটি সহজেই নকল করা সম্ভব। অসাধু ব্যক্তিরা এটি সহজেই নকল করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে বলে অনেকে মনে করেন। ফলে নাগরিক ভোগান্তি ও হয়রানি বাড়ছে। এটি রোধ করতেই স্মার্টকার্ড তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসি।এটি যন্ত্রে পাঠযোগ্য। অসাধু ব্যক্তিরা সহজেই নকল করতে পারবে না। ভোটারের বা পরিচয়পত্রধারীর আইডি নম্বর ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য এই আইডিতে সংরক্ষিত থাকবে। শুধুমাত্র যন্ত্রের সাহায্যে এসব তথ্য পাঠ করা যাবে। টেকসই ও সুন্দর অবয়বে এ কার্ড বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় তা সাধারণভাবে স্মার্টকার্ড হিসেবেই বিবেচিত হবে।
এই স্মার্ট কার্ড নিয়ে সবার মধ্যেই আছে নানা কৌতুহল, দেখতে কেমন হবে , কী কী কাজে লাগবে এমন সব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকের আয়োজন ।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য
২৫টি খাতে এই স্মার্ট কার্ড পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হবে। এখানে তিন স্তরে ২৫টির মতো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথম স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য খালি চোখে দেখা যাবে, দ্বিতীয় স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলো দেখার জন্য প্রয়োজন হবে বহনযোগ্য যন্ত্রাংশ এবং শেষ স্তরের জন্য কোনো ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক টেস্ট করার প্রয়োজন হবে। এটিকে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার জন্য আটটি আন্তর্জাতিক সনদপত্র ও মানপত্র নিশ্চিত করা হবে। স্মার্টকার্ড হবে মেশিন রিডেবল, যা কার্ড জালিয়াতির হাত থেকে বাড়তি নিরাপত্তা
প্রদান করবে।
বর্তমানে ভোটারদের কাছে বিদ্যমান লেমিনেটেড ন্যাশনাল আইডি কার্ড ফেরত নিয়ে প্রথমবারের মত বিনামূল্যেই স্মার্টকার্ড দেয়া হবে। এরপর পুনরায় মেশিনে পাঠযোগ্য এই কার্ড পেতে চাইলে একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। জানা গেছে, বিভিন্ন পাবলিক সার্ভিস নিতে এই আইডি কার্ড প্রদর্শন আবশ্যক করার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।
স্মার্ট কার্ড গ্রহণ
স্মার্ট কার্ড নেওয়ার জন্য নাগরিকদের কেবল নতুন করে দুই হাতের সব আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি দিতে হচ্ছে। তবে অনেক গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিতে অনেক সময় লাগছে বা কারও কারও সব আঙুলের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁরা নতুন স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন, তাঁদের পুরোনো ল্যামিনেটেড কার্ডে ফুটো করে দেওয়া হচ্ছে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের আপনার নাগরিক সুবিধাগুলো
১। আয়করদাতা সনাক্তকরণ নাম্বার পেতে।
২। শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলার জন্য।
৩। ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি ও নবায়নের জন্য।
৪। পাসপোর্টের আবেদনের ও নবায়নের জন্য।
৫। যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য।
৬। ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য।
৭। চাকরির আবেদনের জন্য।
৮। বিমা ও স্কিমে অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে।
৯। বিয়ে বা তালাক রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে।
১০। স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে।
১১। ব্যাংকের হিসাব খুলতে।
১২। ব্যাংক ঋন গ্রহন বা পরিশোধের ক্ষেত্রে।
১৩। নির্বাচনের ভোটার শনাক্ত করতে।
১৪। সরকারি ভাতা উত্তোলনের ক্ষেত্রে।
১৫। সরকারি ভর্তুকি দেয়ার ক্ষেত্রে।
১৬। বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগীতার ক্ষেত্রে।
১৭। টেলিফোন-মোবাইলের সংযোগের ক্ষেত্রে।
১৮। ই-টিকেটিং এর জন্য।
১৯। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে।
২০। আসামী ও অপরাধী শনাক্তকরনের ক্ষেত্রে।
২১। আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার পাওয়ার ক্ষেত্রে, এবং
২২। সিকিউরড ওয়েবে লগ-ইন করার জন্য।
‘স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র করে, পরিচয় দিন গর্ব ভরে’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, কার্ডের প্রয়োজনীয়তা ও নাগরিক সেবার বিষয়ে জানানো হচ্ছে।
বর্তমানে যে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাল করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। উন্নতমানের এই কার্ড ব্যবহার করে ২২ ধরনের নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ভবিষতে ই-পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন সেবাসহ বহুবিধ কাজে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র কবে কোথায় বিতরণ করা হবে
কি ভাবে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার
(এন আই ডি) বা স্মার্ট কার্ড কবে কখন এবং কোথায় দেওয়া হবে।
ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে
www.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে NID Online Services লিংকের ‘অন্যান্য তথ্য’ ট্যাবে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ লিংকে গিয়ে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ অথবা ফরম নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ জানা যাবে।
এসএমএসের মাধ্যমে
এসএমএসের মাধ্যমেও বিতরণের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম জানা যাবে। এসএমএসের মাধ্যমে জানতে SC লিখে স্পেস দিয়ে ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে। আর যাদের এনআইডি ১৩ ডিজিটের তাদের এনআইডির নম্বরের প্রথমে জন্ম সাল যোগ করতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, যারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে কিন্তু এখনো এনআইডি পাননি তারা SC লিখে স্পেস দিয়ে F লিখে স্পেস দিয়ে নিবন্ধন স্লিপের ফরম নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে D লিখে স্পেস দিয়ে yyy-mm-dd ফরমেটে জন্ম তারিখ লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে।
১০৫ নম্বরে ফোন করে
এছাড়া ১০৫ নম্বরে ফোন করেও নাগরিকেরা স্মার্টকার্ড স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ সম্পর্কে যে কোনো তথ্য জানার থাকলে জানতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
যাদের
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রিন্ট হয়নি
যাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রিন্ট হয়নি তারা স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। যে তথ্যগত ভুলের
জন্য স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রিন্ট হয়নি নির্দিষ্ট ফরমে তা পূরণ করে জমা দিন । স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র যথাসময়ে পেয়ে যাবেন।
যাদের
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল আছে কিভাবে সংশোধন করবেন
জাতীয় পরিচয়পত্র এবং স্মার্ট জাতীয়
পরিচয়পত্র সংশোধনের পদ্ধতি এখন পর্যন্ত একই। আবেদনপত্র পূরণ করে নির্ধারিত ফিঃ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করলে একজন নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের দেয়া তথ্য সংশোধন করতে পারেন।
ইতমধ্যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে
জাতীয় পরিচয়পত্রের দেয়া তথ্য সংশোধন এবং ভোটার হওয়ার আবেদন করার সুযোগ দিচ্ছে ইসি। বিষয়টি জাতীয় পরিচয়পত্র বিধিমালায় রাখা হয়েছে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে যা থাকছে
ইসি সূত্র জানিয়েছে, টেকসই ও সুন্দর অবয়বে এ কার্ড বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় তা সাধারণভাবে স্মার্টকার্ড হিসেবেই বিবেচিত হবে। বর্তমানে এক পৃষ্ঠায় নাম, পিতা ও মাতার নাম, জন্মতারিখ ও আইডি নম্বর এবং অপর পৃষ্ঠায় ঠিকানা-সংবলিত লেমিনেটিং করা কার্ড পাচ্ছেন ভোটাররা। ইসি কর্মকর্তারা জানান, কার্ডের মেয়াদ অন্তত ১০ বছর হবে। প্রথমবার বিনামূল্যে বিতরণের পর হারানো বা সংশোধিত কার্ডের জন্য নির্ধারিত ফি থাকবে।
গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে শাস্তি
কোনো ব্যক্তি বা নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা অনুমতিতে ভোটার তালিকা বা জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত তথ্য বা উপাত্তের বিষয়ে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে শাস্তি থাকছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
No comments:
Post a Comment