পদোন্নতির কোটা কমানোয় অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে।
জানা গেছে, তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়োগ বিধি সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশোধিত নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং বাকি দুই তৃতীয়াংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। পদোন্নতির যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রেও সরাসরি নিয়োগ দেয়া হবে। অতীতে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুই তৃতীয়াংশ কোটা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারিদের জন্য বরাদ্দ ছিল।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনে বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণির জনবল রয়েছে ১৭৪১ জন। নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সহকারী বা থানা নির্বাচন অফিসার পদে পদোন্নতির হার ৮০-৯০ শতাংশ রাখার দাবি করেছিল তারা। দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার কাছে আবেদন করেছিল ইসির তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি। আবেদনে মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দফতরে পদোন্নতির বিধি সংযুক্ত করা হয়।
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের অভিযোগ, প্রস্তাবিত নতুন নিয়োগ বিধিতে সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুই তৃতীয়াংশ বা ৬৭ শতাংশ ধরে খসড়া প্রস্তুত করে তা অনুমোদনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সে অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৫১৭টি পদ সৃজনের অনুমোদন দেয়।
কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ে যে খসড়া নিয়োগ বিধি পাঠানো হয়েছে সেখানে এক তৃতীয় পদোন্নতির প্রস্তাব রেখেছে ইসি। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন সভায় সংশোধিত নিয়োগ বিধির অনুমোদন দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও তারা পদবঞ্চিত। বর্তমানে যারা চাকরিতে আছেন তারা সবাই যোগ্য ও পরীক্ষিত।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বিষয়টি ইসির নজরে এসেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নিবে।
No comments:
Post a Comment