বর্তমানে নাগরিকের হাতে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) তুলে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু যারা এখনো পর্যন্ত পেপার লেমিনেটেড এনআইডি বা স্মার্টকার্ড কোনোটিই পায়নি এমন নাগরিকদের আপাতত দুই বছর মেয়াদি ‘সাময়িক’ জাতীয় পরিচয়পত্র দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এছাড়া নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে ইসির ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে হারানো এনআইডি প্রিন্ট করা হবে।
সম্প্রতি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এজন্য কমিশন একটি নমুনা কার্ডেরও অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে নতুন অন্তর্ভুক্তিসহ হারানো ও সংশোধিত সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ হবে দুই বছর।
এছাড়া হারানো এনআইডি পুনঃমুদ্রণের ক্ষমতা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসকে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এজন্য পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র মুদ্রণের জন্য সফটওয়ার প্রস্তুত/পরিবর্তনসহ মাঠপর্যায়ে আঞ্চলিক অফিস থেকে মুদ্রণ করতে সার্ভার স্থাপন, ভিপিএন সংযোগ দেয়াসহ অবিলম্বে কার্ড মুদ্রণের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে এবং সহজে সেবা পেতে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে পেপার লেমিনেটেড কার্ড মুদ্রণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এটি (আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড মুদ্রণ) শুরু করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি।
সাইদুল ইসলাম বলেন, সেবাটি বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট কম হয়। আমরা অনেক কিছুই বিকেন্দ্রীকরণ করছি। জেলা, উপজেলা পর্যায়েও আস্তে আস্তে বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়া চলছে। তারই একটা অংশ এটা।
মূলকথা হচ্ছে মানুষের দুর্ভোগটা যাতে কমাতে পারা যায়। এনআইডির মূল বিষয়গুলো ঠিক রেখে মানুষের দ্বারপ্রান্তে সেবা পৌঁছে দেয়া যায় আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি, যোগ করেন তিনি।
সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে ইসির এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু আমরা স্মার্টকার্ড দিচ্ছি, তাই স্মার্ট কার্ড দিলে আর পেপার লেমিনেটেড কার্ডের প্রয়োজন পড়ছে না। এজন্য আমরা স্মার্ট কার্ডটাকে উৎসাহিত করছি। আর পেপার লেমিনেটেড কার্ড আস্তে আস্তে আউট হয়ে যাবে। সেজন্য এখন থেকে কাউকে পেপার লেমিনেটেড কার্ড দেয়া হলে তার মেয়াদ দুই বছর হবে অর্থাৎ ২০১৯ সাল পর্যন্ত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০১৯ সালের পর আর কারো হতে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র থাকবে না। এর মধ্যে সবাই স্মার্টকার্ড পেয়ে যাবে।
দুই বছর মেয়াদি এই সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র এপ্রিল মাসের মধ্যে নাগরিকের হাতে তুলে দেয়ার জন্য উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে পৌঁছে দেয়া হবে বলেও জানান সাইদুল ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, এনআইডি সেবা সহজ করার জন্য আমরা সফটওয়ার ডেভেলপ করছি যাতে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে যে বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে প্রত্যেক পর্যায়ে নাগরিক বুঝতে পারবে যে, তার কার্ডটি কোন পর্যায়ে আছে। থানা থেকে জেলায় গেলেই সেটি নাগরিক এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবে। এভাবে আমরা সবাইকে একটা জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে চাচ্ছি।
নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা, সহজ করা, দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্রকে কেউ যাতে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে এ বিষয়ে সতর্ক থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যোগ করেন তিনি।
বর্তমানে নাগরিকের হাতে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) তুলে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু যারা এখনো পর্যন্ত পেপার লেমিনেটেড এনআইডি বা স্মার্টকার্ড কোনোটিই পায়নি এমন নাগরিকদের আপাতত দুই বছর মেয়াদি ‘সাময়িক’ জাতীয় পরিচয়পত্র দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এছাড়া নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে ইসির ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে হারানো এনআইডি প্রিন্ট করা হবে।
সম্প্রতি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এজন্য কমিশন একটি নমুনা কার্ডেরও অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে নতুন অন্তর্ভুক্তিসহ হারানো ও সংশোধিত সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ হবে দুই বছর।
এছাড়া হারানো এনআইডি পুনঃমুদ্রণের ক্ষমতা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসকে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এজন্য পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র মুদ্রণের জন্য সফটওয়ার প্রস্তুত/পরিবর্তনসহ মাঠপর্যায়ে আঞ্চলিক অফিস থেকে মুদ্রণ করতে সার্ভার স্থাপন, ভিপিএন সংযোগ দেয়াসহ অবিলম্বে কার্ড মুদ্রণের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে এবং সহজে সেবা পেতে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে পেপার লেমিনেটেড কার্ড মুদ্রণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এটি (আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড মুদ্রণ) শুরু করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি।
সাইদুল ইসলাম বলেন, সেবাটি বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট কম হয়। আমরা অনেক কিছুই বিকেন্দ্রীকরণ করছি। জেলা, উপজেলা পর্যায়েও আস্তে আস্তে বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়া চলছে। তারই একটা অংশ এটা।
মূলকথা হচ্ছে মানুষের দুর্ভোগটা যাতে কমাতে পারা যায়। এনআইডির মূল বিষয়গুলো ঠিক রেখে মানুষের দ্বারপ্রান্তে সেবা পৌঁছে দেয়া যায় আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি, যোগ করেন তিনি।
সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে ইসির এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু আমরা স্মার্টকার্ড দিচ্ছি, তাই স্মার্ট কার্ড দিলে আর পেপার লেমিনেটেড কার্ডের প্রয়োজন পড়ছে না। এজন্য আমরা স্মার্ট কার্ডটাকে উৎসাহিত করছি। আর পেপার লেমিনেটেড কার্ড আস্তে আস্তে আউট হয়ে যাবে। সেজন্য এখন থেকে কাউকে পেপার লেমিনেটেড কার্ড দেয়া হলে তার মেয়াদ দুই বছর হবে অর্থাৎ ২০১৯ সাল পর্যন্ত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০১৯ সালের পর আর কারো হতে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র থাকবে না। এর মধ্যে সবাই স্মার্টকার্ড পেয়ে যাবে।
দুই বছর মেয়াদি এই সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র এপ্রিল মাসের মধ্যে নাগরিকের হাতে তুলে দেয়ার জন্য উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে পৌঁছে দেয়া হবে বলেও জানান সাইদুল ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, এনআইডি সেবা সহজ করার জন্য আমরা সফটওয়ার ডেভেলপ করছি যাতে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে যে বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে প্রত্যেক পর্যায়ে নাগরিক বুঝতে পারবে যে, তার কার্ডটি কোন পর্যায়ে আছে। থানা থেকে জেলায় গেলেই সেটি নাগরিক এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবে। এভাবে আমরা সবাইকে একটা জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে চাচ্ছি।
নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা, সহজ করা, দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্রকে কেউ যাতে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে এ বিষয়ে সতর্ক থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যোগ করেন তিনি।
গত ২০০৮ সালে প্রথম ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ শুরু হয়। ইতোমধ্যে ৯ কোটি নাগরিকের হাতে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের হাতে আধুনিক নানা সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দিচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
গত ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে সিটি করপোরেশনসহ দেশের অর্ধেক জেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
এছাড়া স্মার্ট কার্ড সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানাতে একটি হেল্প ডেস্ক খুলেছে এআইডি উইং। যেকোনো ফোন থেকে ১০৫ নম্বরে কল করে নাগরিকদের তথ্য জানাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগের কর্মকর্তারা।
Discover a collection of health and lifestyle tips to enhance your well-being. Explore expert advice on fitness, nutrition, stress management, and holistic living for a healthier and more balanced life.
No comments:
Post a Comment