বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে আয়োজিত সেমিনার উদ্বোধনকালে সিইসি এ কথা বলেন। প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটাধিকার প্রয়োগ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, চার নির্বাচন কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের, মালেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম, সৌদিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ প্রমুখ।
সিইসি বলেন, ৩০০ আসনের ব্যালট নিয়ে বিদেশে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না। আমাদের কাছে যারা এ প্রস্তাব নিয়ে আসে তাদের বিষয়টা বুঝিয়ে বলি। তবে এ ব্যাপারে আজ আলোচনা মাধ্যমে নির্ধারণ হবে কীভাবে প্রবাসীরা ভোটের আওতায় আসবে।
সিইসি বলেন, দেশের সন্তানরা বিদেশে অবস্থান করে দেশকে সমৃদ্ধশালী করছেন। তাদের কীভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে সাহায্য করা যায়, কীভাবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া যায় উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সেই বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য শোনা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রক্সি ভোট ও পোস্টাল ভোটের নিয়ম আছে। এর মাধ্যমে প্রবাসীরা ভোট দিতে পারেন। আগামী নির্বাচনের আগে এসব পদ্ধতি নিয়ে প্রচারণা চালানো হবে।
প্রসঙ্গত পোস্টাল ভোট পদ্ধতিতে একজন প্রবাসী তার পছন্দমত যে কোনো স্থান থেকে ভোট দিতে পারে। আবেদন করলে ওই ঠিকানায় আগে থেকে ব্যালেট সরবরাহ করা হয়। ভোট দেয়ার পর তা ডাকযোগে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ পদ্ধতি ২০০৮ সাল থেকে চালু হয়।
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটাধিকার প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এমন সুপারিশ করেন ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহা-পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে প্রতিটি দূতাবাসে একটি লোকাল সার্ভার স্থাপন, প্রবাসীদের সংখ্যানুপাতে রেজিস্ট্রেশন টিম তৈরি করে কাজ এগিয়ে নেয়া এবং নিবন্ধন কাজের জন্য যন্ত্রপাতি ও দক্ষ আইটি কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসে ভোটগ্রহণে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যয়, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা ঠেকানো, পোস্টাল ব্যালটের স্বচ্ছতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা’।
এ বিষয়ে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে এই ইসি কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদেশেই প্রবাসীদের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা, প্রাথমিকভাবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা, সচেতনতা বৃদ্ধিসহ আইনি কাঠামো তৈরি করা হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি প্রবাসে ভোট গ্রহণের সুবিধা-অসুবিধাগুলি বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষাপূর্বক একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে’।
No comments:
Post a Comment