তিনি মুসলমান হয়েও সুবিধা নিতে হিন্দু পরিচয় দিয়ে ঢাকায় ভোটার হয়েছেন। বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ধর্ম পরিবর্তন করে ভোটার হয়েছিলেন তিনি। আর নিজ গ্রামে পরে ভোটার হয়েছেন মুসলমান পরিচয়ে। এজন্য ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। তবে জীবিতকে মৃত দেখানোয় নিজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছে ইসি তা জানা যায়নি। সম্প্রতি ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়াবহর এলাকার মীর আবুল হাসনাত খায়রুল বাসার প্রথমে হিন্দু সেজে ঢাকা মহানগরীর আরামবাগে ভোটার হন। নিজের নাম দেন নৃপেন্দ্র কুমার দাস। তিনি বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ধর্ম পরিবর্তন করে ভোটার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আবার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়াবহরে ভোটার হওয়ার সময় এলাকায় মীর আবুল হাসনাত খায়রুল বাসার নামে দ্বিতীয়বার ভোটার হন। এজন্য ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ১৮ ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশনা দেয় কমিশন।
জানা যায়, সম্প্রতি সিলেটে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত ব্যক্তি দেখেন সেখানকার ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। পরে দেখেন তার নাম মৃতদের তালিকায় চলে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ইসিতে যোগাযোগ করলে কমিশন তা খতিয়ে দেখে । পরে ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচে তার দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালু্দ্দীন আহমদ বলেন, বর্তমানে তার দু’টি এনআইডিই লক করা আছে। তবে তাকে মৃত দেখানোর বিষয়টিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এর আগে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দ্বৈত ভোটার হওয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় দুইজন, বরিশালের উজিপুর উপজেলায় একজনসহ বেশ কয়েক জনের নামে মামলা করেছে ইসি। তবে নিজ ধর্ম গোপন রেখে অন্য ধর্মে ভোটার হওয়াসহ দ্বৈত ভোটারের ঘটনা এটিই প্রথম।
No comments:
Post a Comment