![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjTvTw03OC0H6dfz2Islh-CNOy5Q6jaVAkGgAQoxDvoqKZZd9EgjbvbBLiDA3oNcFmONAHMZoDhOVYoVJgVdEAap3s2_g2zbfFaonh_DYNHJRBYwNN3M5yMgQiM1oH08RxvHWNgnatmlow/s400/images+nid.jpg)
জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া তথ্য গোপন করে যারা নিজেদের ইচ্ছামতো বয়স নির্ধারণ করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ পেতে সেখানে ভর্তি হতেন, তাদের সে পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যারা এই পথে অতীতে সফল হয়েছেন, আগামীতে অগ্রজদের পথ অনুসরণ করার আগে ভর্তিচ্ছুদের দুবার ভাবতে হবে। অন্যথায়, বিপদে পড়ে শাস্তির মুখোমুখি হবেন। কারণ, সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ দেওয়া এই বিদ্যাপিঠে ভর্তির ক্ষেত্রে ভোটার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের এ ধরনের আরো কিছু শর্ত মেনে ভর্তি হতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া তথ্য গোপন করে যারা নিজেদের ইচ্ছামতো বয়স নির্ধারণ করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ পেতে সেখানে ভর্তি হতেন, তাদের সে পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যারা এই পথে অতীতে সফল হয়েছেন, আগামীতে অগ্রজদের পথ অনুসরণ করার আগে ভর্তিচ্ছুদের দুবার ভাবতে হবে। অন্যথায়, বিপদে পড়ে শাস্তির মুখোমুখি হবেন। কারণ, সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ দেওয়া এই বিদ্যাপিঠে ভর্তির ক্ষেত্রে ভোটার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের এ ধরনের আরো কিছু শর্ত মেনে ভর্তি হতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে নিবন্ধনের সময় শিক্ষার্থীদের এনআইডি বাধ্যতামূলক, বয়স নিশ্চিত করতে পিতা, মাতা, ভাই-বোনের পরিচয়পত্র নিশ্চিত করা এবং প্রার্থীর পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখের সঙ্গে পিতা-মাতার জন্ম তারিখের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে; অন্যথায় ভর্তিতে অযোগ্য হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৭ সালে। বর্তমান এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। দালিলিক এই প্রমাণ সেবামূলক কাজসহ সর্বত্রই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইসি এবং সরকারের এই উদ্যোগে অনেক নাগরিককে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। তবে, সাধারণ ভুক্তভোগীদের অসুবিধার মাত্রা কম হলেও এত দিন যারা ভুল তথ্য দিয়ে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছিলেন তারা বেশ সংকটে পড়ে যেতে পারেন। কারণ, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ ও নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এসএসসিসহ সমমানের সনদ বাধ্যতামূলক। ফলে যারা আগেই এসএসসি পাস করেছেন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে, পরিচয়পত্রের কারণে এখন চাকরির বেতন ও পেনশনসহ অন্যান্য কার্যক্রমে এটির প্রদর্শনে সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়েছে। তখন সনদ পেতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নিয়েছেন এসব চক্র। এই বিদ্যাপীঠের সনদ দিয়ে নাম ও বয়স সংশোধন করতে গিয়ে রীতিমতো গলধর্ঘম নির্বাচন কমিশন। ফলে, উন্মুক্তের সনদ অনুযায়ী পরিচয়পত্র সংশোধন করতে গিয়ে কমিশন জানতে পেরেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বয়স ওই সনদ অনুযায়ী সংশোধন করলে তার বয়স পরিবারের বড় ভাই-বোনের বয়সের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে; ক্ষেত্র-বিশেষে মায়ের সঙ্গে ওই সন্তানের বয়সের তফাত দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৫-৬ বছরের।
কমিশন বলছে, বিভিন্ন স্বার্থান্বেষিমহল শিক্ষাগত যোগ্যতার বিভিন্ন সনদ থাকা সত্ত্বেও তারা আবার উন্মুক্তে বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখানে বয়স কমিয়ে বা নাম পরিবর্তন করে সনদ সংগ্রহ করেন। ওই সনদ পেয়ে নানা ধরনের অপকর্মের বা বেআইনী কার্যকলাপের আশ্রয় নেয়। তারা পরবর্তীতে এনআইডি সংশোধনের জন্য বিভিন্ন দালাল চক্র বা বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীর মাধ্যমে অযৌক্তিক সংশোধনের চেষ্টা চালায়।
কমিশনের এই সমস্যার সঙ্গে একমত পোষণ করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এই বিদ্যাপীঠে বর্তমানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ। আঞ্চলিক-উপআঞ্চলিক ভিত্তিতে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণির সনদ সংযুক্ত করা হয়। আগামীতে এখানে ভর্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হবে।
উন্মুক্তে ভর্তির ক্ষেত্রে কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এগুলো হচ্ছে—পরিচয়পত্র যাচাইয়ে দুই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা, যেসব সনদ ইসি যাচাই করতে পারেন না, সেগুলো বিদ্যালয়ে পাঠালে তার সত্যতা যাচাই করে কমিশনকে অবহিত করা, ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স ও নামে কোন ধরনের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে প্রয়োজনে আবেদনকালীর আঙুলের ছাপ গ্রহণ করা, এনআইডি হওয়ার আগে চাকরি হলে চাকরির দালিলিক প্রমাণ অনুযায়ী এটাকে সংশোধন করা; সব কাগজপত্র একই রকম হওয়া, এনআইডি প্রাপ্তির পর চাকরি হলে পরিচয়পত্র অনুসারে নিজ নাম, জন্ম তারিখ ও অন্যান্য তথ্য প্রদান না করা হলে; সংশোধন অযোগ্য করা এবং মাধ্যমিক পাস হওয়া সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে পুনরায় উন্মুক্ত হতে মাধ্যমিক পাস করে উক্ত সনদ দাখিল করে এনআইডি সংশোধনের আবেদন করলে তা অগ্রহযোগ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে এনআইডির ডিজি ব্রি. জে. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে সাধারণ ১৮, ২৫, ৩০ ও ৬০ এই বয়সসীমার মধ্যে নিজ জন্ম তারিখ আনয়নের এক ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার জন্য ২৫ বছরের বয়সসীমা, মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্কভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বয়সসীমা এবং সরকারি চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বয়সসীমা করার প্রবণতা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে অনেকে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে উন্মুক্তের সনদ দেখিয়ে পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন জানায়। এতে সব নিয়ম জেনেও আইডি সংশোধন করতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের আশস্ত করেছে আগামীতে তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রকে অগ্রাধিকার দেবে; এটা ইতিবাচক।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে নিবন্ধনের সময় শিক্ষার্থীদের এনআইডি বাধ্যতামূলক, বয়স নিশ্চিত করতে পিতা, মাতা, ভাই-বোনের পরিচয়পত্র নিশ্চিত করা এবং প্রার্থীর পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখের সঙ্গে পিতা-মাতার জন্ম তারিখের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে; অন্যথায় ভর্তিতে অযোগ্য হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৭ সালে। বর্তমান এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। দালিলিক এই প্রমাণ সেবামূলক কাজসহ সর্বত্রই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইসি এবং সরকারের এই উদ্যোগে অনেক নাগরিককে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। তবে, সাধারণ ভুক্তভোগীদের অসুবিধার মাত্রা কম হলেও এত দিন যারা ভুল তথ্য দিয়ে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছিলেন তারা বেশ সংকটে পড়ে যেতে পারেন। কারণ, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ ও নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এসএসসিসহ সমমানের সনদ বাধ্যতামূলক। ফলে যারা আগেই এসএসসি পাস করেছেন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে, পরিচয়পত্রের কারণে এখন চাকরির বেতন ও পেনশনসহ অন্যান্য কার্যক্রমে এটির প্রদর্শনে সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়েছে। তখন সনদ পেতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নিয়েছেন এসব চক্র। এই বিদ্যাপীঠের সনদ দিয়ে নাম ও বয়স সংশোধন করতে গিয়ে রীতিমতো গলধর্ঘম নির্বাচন কমিশন। ফলে, উন্মুক্তের সনদ অনুযায়ী পরিচয়পত্র সংশোধন করতে গিয়ে কমিশন জানতে পেরেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বয়স ওই সনদ অনুযায়ী সংশোধন করলে তার বয়স পরিবারের বড় ভাই-বোনের বয়সের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে; ক্ষেত্র-বিশেষে মায়ের সঙ্গে ওই সন্তানের বয়সের তফাত দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৫-৬ বছরের।
কমিশন বলছে, বিভিন্ন স্বার্থান্বেষিমহল শিক্ষাগত যোগ্যতার বিভিন্ন সনদ থাকা সত্ত্বেও তারা আবার উন্মুক্তে বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখানে বয়স কমিয়ে বা নাম পরিবর্তন করে সনদ সংগ্রহ করেন। ওই সনদ পেয়ে নানা ধরনের অপকর্মের বা বেআইনী কার্যকলাপের আশ্রয় নেয়। তারা পরবর্তীতে এনআইডি সংশোধনের জন্য বিভিন্ন দালাল চক্র বা বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীর মাধ্যমে অযৌক্তিক সংশোধনের চেষ্টা চালায়।
কমিশনের এই সমস্যার সঙ্গে একমত পোষণ করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এই বিদ্যাপীঠে বর্তমানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ। আঞ্চলিক-উপআঞ্চলিক ভিত্তিতে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণির সনদ সংযুক্ত করা হয়। আগামীতে এখানে ভর্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হবে।
উন্মুক্তে ভর্তির ক্ষেত্রে কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এগুলো হচ্ছে—পরিচয়পত্র যাচাইয়ে দুই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা, যেসব সনদ ইসি যাচাই করতে পারেন না, সেগুলো বিদ্যালয়ে পাঠালে তার সত্যতা যাচাই করে কমিশনকে অবহিত করা, ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স ও নামে কোন ধরনের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে প্রয়োজনে আবেদনকালীর আঙুলের ছাপ গ্রহণ করা, এনআইডি হওয়ার আগে চাকরি হলে চাকরির দালিলিক প্রমাণ অনুযায়ী এটাকে সংশোধন করা; সব কাগজপত্র একই রকম হওয়া, এনআইডি প্রাপ্তির পর চাকরি হলে পরিচয়পত্র অনুসারে নিজ নাম, জন্ম তারিখ ও অন্যান্য তথ্য প্রদান না করা হলে; সংশোধন অযোগ্য করা এবং মাধ্যমিক পাস হওয়া সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে পুনরায় উন্মুক্ত হতে মাধ্যমিক পাস করে উক্ত সনদ দাখিল করে এনআইডি সংশোধনের আবেদন করলে তা অগ্রহযোগ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে এনআইডির ডিজি ব্রি. জে. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে সাধারণ ১৮, ২৫, ৩০ ও ৬০ এই বয়সসীমার মধ্যে নিজ জন্ম তারিখ আনয়নের এক ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার জন্য ২৫ বছরের বয়সসীমা, মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্কভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বয়সসীমা এবং সরকারি চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বয়সসীমা করার প্রবণতা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে অনেকে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে উন্মুক্তের সনদ দেখিয়ে পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন জানায়। এতে সব নিয়ম জেনেও আইডি সংশোধন করতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের আশস্ত করেছে আগামীতে তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রকে অগ্রাধিকার দেবে; এটা ইতিবাচক।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjTvTw03OC0H6dfz2Islh-CNOy5Q6jaVAkGgAQoxDvoqKZZd9EgjbvbBLiDA3oNcFmONAHMZoDhOVYoVJgVdEAap3s2_g2zbfFaonh_DYNHJRBYwNN3M5yMgQiM1oH08RxvHWNgnatmlow/s400/images+nid.jpg)
No comments:
Post a Comment