নিজের শাস্তি ও বদলি নিয়ে বিএনপির করা দাবি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যে সিদ্ধান্তগুলো হয়, ওই সিদ্ধান্তের মুখপাত্র হিসেবে ও সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য ইসি সচিব কাজ করে। এখানে নির্বাচন কমিশন সচিবের আলাদা কোনো সত্তা নেই।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুরে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই চিঠি দেয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এই চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) দফতরে জমা দেয়া হয়। ওই সময় আলাদা একটি চিঠিতে ইসি সচিবসহ ডিএমপি কমিশনারের বিচার দাবি করা হয়।
বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় তাদের বিচার চাওয়া হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন-সংক্রান্ত ইসির দেয়া চিঠির পরদিনই পল্টনে সংঘর্ষ হয়। এসব চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ছাড়াও ইসি সচিবের কাছে দেয়া হয়। ইসি সচিব প্রতিনিধি দলকে চা ও বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়নও করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব সচিবের। এজন্য ইতোমধ্যে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে, সেগুলো কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।
No comments:
Post a Comment