নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশবাসীকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। দেশবাসীকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। আর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে পুলিশ অন্যতম একটি সংস্থা। আমরা আশা করি, তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে ইসি সচিব বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রতিটি সংসদীয় এলাকার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন সম্পর্কিত আইন বিধি-বিধান, পরিপত্র, প্রজ্ঞাপনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা এরই মধ্যে সময়ে সময়ে জারি করা হয়েছে এবং আরও অনেক নির্দেশনা জারি করা হবে। নির্বাচন পরিচালনা বিষয়ে ইতোমধ্যে সকল রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্রিফ করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদেরও ব্রিফ করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনার্থে সারাদেশে ৬০০ এর ওপরে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ তারিখে তাদেরকেও ব্রিফ করা হবে।
সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, আইজিপি, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনআইডি উইংয়ের ডিজি, ইসির অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক, মেট্রোপলিটনের কমিশনারসহ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর।
No comments:
Post a Comment