একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার প্রতি ১০ টাকার বেশি খরচ না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একটি সংসদীয় আসনে অনেক ভোটার হলেও ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করা যাবে না। দল থেকে পাওয়া অনুদান মিলে এই টাকার মধ্যেই নির্বাচনী ব্যয় শেষ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ইসি।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে একথা বলা হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) অনুযায়ী এই নির্দেশনা আজ (শুক্রবার) মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের ভোটারদের টাকা দেয়া ও আপ্যায়ন করার প্রতি বিধি নিষেধ রয়েছে। তবে প্রার্থীরা এই টাকা নির্বাচনী প্রচার যেমন পোষ্টার, মাইকিং ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে পারবেন। নির্বাচনে আরপিওর কোনো ধারা লঙ্ঘন করলে প্রার্থীতা বাতিল করারও বিধান রয়েছে।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে রিটার্নিং ও সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে রিটার্নি কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/ জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা সহকারি রিটার্নি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা হস্পতিবার সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নেয়া হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর (রোববার)। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর (সোমবার)। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের ক্ষণ-গণনা শুরু হয়। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর ছিল ইসি। এজন্য গত ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি জানায় তারা।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment