আগামী মার্চ মাসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বসতে হবে। আমরা তাড়াতাড়ি এ নির্বাচন করে ফেলব।’
বুধবার বিকেলে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে এমন ইঙ্গিত দেন সিইসি। এর আগে দুপুরে ডিএনসিসির নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন সুপ্রিম কোর্ট।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘মার্চে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদের মাঝেই এ নির্বাচন করা হবে। তবে এ বিষয়ে কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানে পুনঃতফসিল করা হবে। বসতে হবে সবার সঙ্গে। নির্বাচন তাড়াতাড়ি করে ফেলব। উপজেলা নির্বাচন এর ওপর প্রভাব ফেলবে না। এর মাঝেই করে ফেলব।’
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তফসিল দিয়ে মার্চের প্রথম থেকে পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন করা হবে বলে এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
২০১৮ সালের ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি ডিএনসিসি (নতুন ১৮টি ওয়ার্ডেসহ) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত।
একই বছর ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৮ জানুয়ারি সে তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল। ভোটগ্রহণের কথা ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু আদালত নির্বাচনের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।
ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছর ১৬ জানুয়ারি ভাটারা থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরদিন ১৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ওই তফসিলের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
No comments:
Post a Comment